সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রাইজ বন্ড বাংলাদেশ সরকারের একটি সুদ বিহীন বিনিয়োগ পদ্ধতি। স্থানীয়ভাবে সম্পদ সংগ্রহ এবং জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়।
প্রাইজ বন্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকার জনগণের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে এবং পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত ড্র অনুযায়ী বিজয়ী নম্বরের বন্ডের অনুকূলে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করে।
প্রাইজ বন্ড চেকারের ওয়েব সাইট অথবা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি প্রাইজ বন্ড ডিজিটালি সংরক্ষণ করলে সর্বশেষ দুই বছরের ড্র'র রেজাল্টের সাথে
আপনার বন্ডের নম্বর চেক করে ফলাফল জানিয়ে দিবে। আপনি ভাগ্যবান হলে, ড্র'র তারিখ থেকে দুই বছরের মধ্যে পুরস্কারের টাকা দাবী করতে পারবেন।
শুধু পুরনো রেজাল্ট নয়, নতুন ড্র'র সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক ভাবে আপনার বন্ডের সাথে ফলাফল চেক করে জানিয়ে দেয়া হবে।
ধরুন, আপনি ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারিখে ১০০টি অতিরিক্ত প্রাইজ বন্ডের সাবস্ক্রিপসন কিনেছেন। এর পরে ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখে
আবার ৫০০টি অতিরিক্ত সাবস্ক্রিপসন কিনলেন। আপনার অতিরিক্ত প্রাইজ বন্ডের সাবস্ক্রিপসনের সংখ্যা হবে ৬০০টি। এর পরে, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরে প্রথমে
কেনা ১০০টি অতিরিক্ত প্রাইজ বন্ডের সাবস্ক্রিপসনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সে সময় সাবস্ক্রিপসনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপনার কাছে নোটিফিকেশন যাবে।
আপনি মেয়াদ না বাড়লে আপনার সাবস্ক্রিপসন লক হয়ে যাবে। আপনি কোন ড্র'র রেজাল্ট দেখতে পারবেন না। তখন আপনার অতিরিক্ত সাবস্ক্রিপসনে থাকা
৬০০টি বন্ডের মধ্যে যে কোন ১০০টির নম্বর ডিলিট করে দিলে সাবস্ক্রিপসন আনলক হয়ে যাবে। এই ভাবে প্রাইজ বন্ড চেকারের সাবস্ক্রিপসন নবায়ন করতে হবে।
প্রাইজ বন্ড চেকারে ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ১০টি প্রাইজ বন্ড যোগ করে চেক করতে পারবেন। অতিরিক্ত প্রাইজ বন্ড যোগ করতে হলে সাবস্ক্রিপসন করতে হবে।
সাধারণত, প্রতি তিন মাস অন্তর (৩১ জানুয়ারী, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) 'ড্র' অনুষ্ঠিত হয়। তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন
সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজ বন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হতে না
পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়।
প্রতি ড্র তে প্রতি সিরিজে পুরস্কার
- (ক) ৬,০০,০০০ টাকার প্রথম পুরস্কার একটি
- (খ) ৩,২৫,০০০ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার একটি
- (গ) ১,০০,০০০ টাকার তৃতীয় পুরস্কার দু'টি
- (ঘ) ৫০,০০০ টাকার চতুর্থ পুরস্কার দু'টি
- (ঙ) ১০,০০০ টাকার পঞ্চম পুরস্কার চল্লিশটি
বন্ডে নির্দেশিত বিক্রয় তারিখ থেকে কমপক্ষে ২ (দুই) মাস পার হলে উক্ত বন্ড ড্র'র আওতায় আসবে।
জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। পুরষ্কারের দাবী ফরম পাওয়া যাবে যে কোন ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসে। এ ছাড়া অনলাইনে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ফরম এই দুই ওয়েবসাইটে।
পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরষ্কার দেয়া হবে তাই বিজয়ীর ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
এখনে উল্লেখ্য যে, ড্র'র তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বৎসরের মধ্যে ঐ ড্র-তে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থ দাবি করা না হলে ঐ পুরস্কার বাতিল হয়ে যায় যা কোনক্রমেই আর পরিশোধ করা হয় না।
পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরষ্কার দেয়া হবে তাই বিজয়ীর ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
এখনে উল্লেখ্য যে, ড্র'র তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বৎসরের মধ্যে ঐ ড্র-তে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থ দাবি করা না হলে ঐ পুরস্কার বাতিল হয়ে যায় যা কোনক্রমেই আর পরিশোধ করা হয় না।
'ড্র' অনুষ্ঠানের নির্ধারিত তারিখ থেকে দুই বছরের মধ্যে পুরস্কারের টাকা দাবী করতে হয়।
১৯৭৪ সালের পয়লা জুন থেকে প্রাইজ বন্ড ইস্যু করা হয়।
১৯৯৫ সাল থেকে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজ বন্ড বাজারে রয়েছে।
শিশুসহ যেকোন বাংলাদেশী এই বন্ড কিনতে পারবেন।
সাধারণত একজন ব্যক্তি ৪৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ প্রাইজ বন্ড কিনতে পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল শাখা অফিস, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলির অনুমোদিত শাখাসমূহ,
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো এবং দেশের সকল ডাকঘর থেকে প্রাইজ বন্ড ক্রয় করা যায়।
প্রাইজ বন্ড হস্তান্তরযোগ্য এবং স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে বন্ডের ধারকই এর মালিক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের এজেন্ট হিসেবে এই স্কিম পরিচালনা করে। প্রাইজ বন্ড সম্পর্কিত যেকোনো নিয়ম পরিবর্তন পরিবর্ধন
করার সকল ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
প্রাইজ বন্ড সংক্রান্ত অধিকাংশ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। অনুগ্রহ করে যে কোন
তথ্য যাচাই এবং আপডেট তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক
এবং
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেখুন।